সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে ভারতীয় হাইকমিশনে বাংলাদেশের চিঠি
আপলোড সময় :
০৯-১০-২০২৪ ০৮:৪০:১৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১০-১০-২০২৪ ১২:২৬:৩৮ অপরাহ্ন
সীমান্তে পাহারায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য। ফাইল ফটো
সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে আগের সব সীমান্ত হত্যার ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কুমিল্লার মো. কামাল হোসেন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো চিঠিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব কথা বলেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বাসিন্দা বাংলাদেশি নাগরিক মো. কামাল হোসেন নিহতের ঘটনায় আজ ভারত সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিতে লিখেছে, বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, সীমান্ত হত্যাকাণ্ডকে ‘শূন্য পর্যায়ে’ নামিয়ে আনার জন্য ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বারবার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বিএসএফ এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করছে।
বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়ে বলেছে, সীমান্ত হত্যার এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত, অযাচিত। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা ১৯৭৫ এর বিধান লঙ্ঘন করে।
বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে এবং সব সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত পরিচালনা করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানায়।
সোমবার (৭ অক্টোবর) কুমিল্লা সীমান্তে কামাল হোসেনকে (৩২) গুলি করে হত্যা করে মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ এর সদস্যরা। ওইদিন সন্ধ্যায় জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের যশপুর বিওপির কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কামাল হোসেন সদর দক্ষিণ উপজেলার কুড়িয়াপাড়া গ্রামের ইদু মিয়ার ছেলে।
এর আগে গত ৯ জুন কুমিল্লার বুড়িচং সীমান্তে অবৈধভাবে ভারতীয় চিনি আনতে গিয়ে নিহত হন আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি। পরে তার মরদেহ ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পতাকা বৈঠক শেষে বিকেলে ওই ব্যক্তির মরদেহ বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করেছিল বিএসএফ।
বাংলা স্কুপ/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স